ক্ষমতা ও শাসন এই দুটি ঋণাত্মক শব্দ এবং এই দুটি শব্দ ”ব্যবস্থাপনা” শব্দ দ্বারা প্রতিস্থাপিত হবে। রাষ্ট্রযন্ত্রের কর্মকান্ডে দুর্নীতি রোধ, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে রাষ্ট্রযন্ত্রের সকল চালিকা শক্তির ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তি/ অটোমেশনের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা করা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সকল ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠা ও লালন করা, গণতন্ত্র পূণঃরুদ্ধার ও চর্চা করা, সুশাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা, সংখ্যা লঘুদের নিরাপত্তা, সাংঘর্ষিক রাজনীতি পরিহার, গুনগত রাজনীতি চর্চা, পরিবার তন্ত্র পরিহার, সর্বক্ষেত্রে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, দুর্নীতিমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত, দারিদ্রমুক্ত এবং জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে উদার গণতন্ত্রের বাংলাদেশ গঠন। দলের প্রধান লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিম্নরূপঃ
ক) পার্টির পরিচালনায় সকল ক্ষেত্রে প্রযুক্তি ও গণতন্ত্রের ব্যবহার অত্যাবশকীয়।
খ) রাজনীতি হতে হবে পূর্ণকালীন পেশা এই মর্মে আমাদের লক্ষ্য ফিউচার লিডার্স ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা যার মাধ্যমে রাজনীতিতে আগ্রহী সকল ব্যক্তিকে ইতিহাস -ঐতিহ্য, মূল্যবোধ, স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা, নেতৃত্ব-দক্ষতা, মানবিকতা ইত্যাদি জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে শিক্ষা গ্রহণ ও কৃতকার্যতার মাধ্যমে রাজনীতিতে প্রবেশ করানো।
গ) ’’মাইগ্রেশন গভার্নেন্স ইকোসিস্টেম” এর মাধ্যমে বিদেশগামী কর্মী ও প্রবাসীদের জিরো কস্ট ফর্মুলা প্রণয়ন করত তাদের থ্রি সিক্সটি ডিগ্রী কল্যাণ নিশ্চিত করা এবং বিদেশগামী কর্মীদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
ঘ) বাংলাদেশের নিজ তথ্যপ্রযুক্তি ও নির্মাণ কার্যক্রম দ্বারা দেশের ক্ষুদ্র শিল্প থেকে মহাকাশ পদচারণা সহ সকল কার্যক্রমে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নে কাজ করা এবং মহাকাশে বাংলাদেশের অভিযাত্রার উন্মেষ ঘটানো।
ঙ) বেসরকারি বা প্রাইভেট চাকুরিজীবীদের পরিবারকে সুরক্ষিত রাখার জন্য চাকরী ও আপৎকালীন সময়ে কার্যকর বীমা পরিষেবা ক্ষুদ্র ঋণ এবং সামাজিক প্রানাদনার ক্ষেত্র তৈরি করা।
চ) বাংলাদেশে জেগে উঠা নতুন ভূমিকে অর্গানিক খাদ্যের আধার হিসেবে বিশ্ব পরিমণ্ডলে পরিচিতি সমাদৃত করানো ও রপ্তানির ব্যবস্থা করা।
ছ) স্মার্ট এডুকেশন এর মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটানো এবং তথ্যপ্রযুক্তির আওতাধীন রোবটিক্স, আর্টিফিশিয়াল ,আই ও টি প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় বাধ্যতামূলক অন্তর্ভুক্তি করন।
জ) চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের অংশীদার রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে বিশ্ব প্রযুক্তির আউটসোর্স দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা।
ঝ) বেকার যুব সমাজের দ্রুত কর্মমূখী এবং দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করতে ফ্রি-ল্যান্সিং এবং যুগ উপযোগী প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।
ঞ) সাংঘর্ষিক রাজনীতি পরিহার এবং গুনগত রাজনীতি চর্চা করা ।
ট) পরিবার তন্ত্র পরিহার করা ।
ঠ) রাষ্ট্র ও সমাজের সকল ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।
ড) জাতীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন ও তাদের স্ব-স্ব মর্যাদায় প্রতিষ্ঠা করা।
ঢ) একটি শোষণমুক্ত, সুষম এবং ন্যায়ভিত্তিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।
ণ) অর্থনৈতিক সাবলম্বীতা অর্জন এবং দেশের ধনী-দরিদ্র, নারী-পুরুষ, গ্রাম-শহর, ছোট- বড় ও জাতি-গোষ্ঠীর মধ্যে বিদ্যমান সকল প্রকার বৈষম্যের অবসান ঘটানো ।
ত) পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বসবাসরত ছোট-বড় নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর ধর্ম ও সংস্কৃতিকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও সম্মান প্রদানের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ জাতি সৃষ্টি করা।
থ) বিশেষ অর্থনৈতিক ও সামাজিক কর্মসূচীর মাধ্যমে পরিকল্পিত গৃহায়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য কর্মসূচীর উন্নয়নসহ অগ্রাধিকারের মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিতদের অগ্রগতি নিশ্চিত করা।
দ) বাংলাদেশের পশ্চাদপদ অঞ্চল সমূহ- যথা নদীভাঙ্গন অঞ্চল, চর ও দ্বীপ অঞ্চল, উত্তরাঞ্চলের মঙ্গা আক্রান্ত এলাকা, মহানগরগুলির বস্তি এলকার জন গোষ্ঠীর উপার্জন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও গৃহায়ন সম্পর্কিত মানব অধিকার নিশ্চিত করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
ধ) রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মসূচীর অজুহাতে কোন ধরনের ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ড, যা জনসাধারণের জন্য ক্ষতিকারক বা দেশের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড বাধাগ্রস্থ হয়, ঐ ধরনের কোন প্রকার কর্মকান্ডে অংশগ্রহন বা সমর্থন না জানাতে জনসচেতনতা তৈরি করা।
ন) আইনানুযায়ী দলের ও রাষ্ট্রের প্রতিটা ক্ষেত্রে নারীর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা ।
প) সশস্ত্র বাহিনীকে যুগোপযোগী ও প্রযুক্তি বান্ধব করা।
ফ) শিক্ষাবৃত্তির মাধ্যমে গরিব মেধাবী শিক্ষার্থীদের দেশে বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করা।
ব) দেশ ও জাতির ইতিহাস -ঐতিহ্য লালন এবং বাঙালি সংস্কৃতি বিকাশের লক্ষ্যে প্রচার-প্রচারণা ও নানামুখী পদক্ষেপ নেয়া।
ভ) নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের মাধ্যমে পরিবার-সমাজ তথা দেশের উন্নয়ন ধারা অব্যাহত রাখতে (এক পায়ে চলার পরিবর্তে দুই পায়ে চলার) কার্যকর পরিকল্পনা গ্রহণ করা।
ম) সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মাধ্যমে একটি উদার ও সহনশীল সমাজ গঠনের লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
য) বিপরীতমূখী ভিন্ন ভিন্ন শিক্ষার পরিবর্তে একমূখী কল্যাণকর শিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশের সকল মানুষের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা।
য়) পথশিশু, ভবঘুরে কিশোর ও অনাথ বালিকাদের জন্য ’’সেভ জোন’’ তৈরি করে তাদের প্রয়োজনীয় মৌলিক অধিকার এবং কর্মমূখী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সমাজে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা।
র) হকার ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের পেশাগত উন্নয়নে কাজ করা।
ল) চাষী ভাইদের অর্গানিক পণ্য উৎপাদন সংরক্ষণ ও ন্যায্য মূল্যে বিপণন এর নানামুখী ব্যবস্থা গ্রহণ।